ঢাকা: গত জুলাইয়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এছাড়া খাদ্য বহির্ভূত পণ্যেও মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ।,
বুধবার (৩ আগস্ট) রাজধাীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত নিজ কার্যালয়ে এসব তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ৪২২টি পণ্যের দাম নিয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো মূল্যস্ফীতির এই হিসাব করে বলে জানান তিনি।,এম এ মান্নান বলেন, ‘চালের দাম বাড়েনি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কমেছে। ভোজ্য তেলের দাম ১৮ থেকে ২০ টাকা কমেছে। ডালের দাম বাড়েনি। এসব কারণে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমেছে। এরপর প্রভাব পরেছে সার্বিক মূল্যস্ফীতিতে। সার্বিক মূল্যস্ফীতি গত জুলাইয়ে কমেছে দশমিক ৪ শতাংশ। আর খাদ্যমূল্যস্ফীতি কমেছে দশমিক ১৯ শতাংশ।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গ্রামের মানুষের যারা সবচেয়ে গরিব তাদের সহ্য ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি। তিনি আরা বলেন, যারা আশা করেছিল মূল্যস্ফীতিতে বাংলাদেশ শ্রীলংকা হবে তাদের সে আশা পূরণ হয়নি।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতির কমতির ধারা অব্যাহত থাকবে। কেননা দুই মাস পর রোপা আমন ধান ঘরে উঠবে। চাল আমদানির পথ খোলা রয়েছে।’
এদিকে গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে, যা জুন মাসে ছিল ৮ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। এ সময় খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ, যা জুন মাসে ছিল ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্য কিছুটা বেড়ে দাঁড়িছেছে ৬ দশমিক ৫৮ শতাংশে, যা জুন মাসে ছিল ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ।,
শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৫১ শতাংশে, যা জুন মাসে ছিল ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৮৪ শতাংশে, যা জুন মাসে ছিল ৭ দশমিক ১১ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১৫ শতাংশে, যা জুন মাসে ছিল ৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।,
from Sarabangla https://ift.tt/QuYm8gP