ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীতে হু হু করে বাড়ছে পানি। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তিস্তাপারের তিন জেলার মানুষ। মঙ্গলবার (২ আগস্ট) ভোর ৬টায় লালমনিরহাটের দোয়ানীতে ব্যারেজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।,
ঢল সামলাতে ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানিয়েছে, কয়েক দিন ধরে নদীতে পানিবৃদ্ধি শুরু হয়। সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরেও ওই পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচে ছিল। কিন্তু বেলা ৩টার দিকে হু হু করে পানি বৃদ্ধির ফলে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার এবং সন্ধ্যা ৬টায় আরও ১৫ সেন্টিমিটার অর্থাৎ ২৫.৮৫ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদ দৌলা বলেন, ‘ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বেড়ে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।,
ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় আমরা সবাই সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।’ রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব বলেন, ‘উজানে ভারি বৃষ্টিপাত ও তীব্র গরমে হিমালয় পর্বতের বরফ গলতে শুরু করায় হঠাৎ করে ঢল নামতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ব্যারেজ ও আশপাশের নীলফামারী, লালমনিরহাট ও রংপুরের নদী তীরবর্তী মানুষদের সতর্ক করা হচ্ছে।,
বিভিন্ন বাঁধ, তীরবর্তী এলাকা ও অবকাঠামোতে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। পানির চাপ মোকাবিলায় ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রাখা হয়েছে। বড় ধরনের সমস্যা মোকাবিলায় পাউবোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সজাগ রয়েছেন।’ পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকর্তা জানান, তিস্তা অববাহিকার উজানে দ্রুতগতিতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছায় বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে পারে। সংশ্লিষ্ট সব নদীর অববাহিকায় বসবাসরত স্থানীয়দের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।,