পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার পূর্বধলায় একটি মারামারির মামলায় মো. সেলিম সরকার (৪৬) নামের এক ইউপি সদস্যকে দুই (২) বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত সেলিম সরকার উপজেলার বিশকাকুনী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য ও নৈগাঁও গ্রামের মৃত নূরুল আমিন সরকারের ছেলে।,
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২০ সালের ২ আগস্ট নৈগাঁও গ্রামের মৃত মোক্তার উদ্দিন সরকারের ছেলে আলাল উদ্দিন সরকার বাদী হয়ে মোঃ সেলিম সরকারসহ ৫জনকে আসামি করে পূর্বধলা থানায় ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৫০৬/১১৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে দীর্ঘদিন মামলাটি আদালতে চলমান অবস্থায় গত ২০২৩ সালের ১১ মে আসামী মো. সেলিম সরকার, মো. শামীম সরকার ও মো. সোহাগ সরকারকে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শাহাদাত হোসেন ৩২৪ ধারায় দোষী সাবস্থ্য করে দুই (২) বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। রায়ের সময় ওই তিন জন আসামীর মধ্যে সোহাগ সরকার পলাতক ছিলেন।,
এ সময় অপর আসামী সুজন সরকার ও মো. মানিক সরকারকে ৩২৩ ধারায় দোষী সাবস্থ্য করে প্রত্যেককে ১হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১০দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।,
জানাযায়, উপজেলার বিশকাকুনি ইউনিয়নের নৈগাঁও গ্রামে ২০২০ সালের ১লা আগস্ট বিকালে কুরবানী ঈদে সমাজে মাংস বন্টনকে কেন্দ্র করে সেলিম সরকারদের সাথে আলাল উদ্দিন সরকার ও সুজাত সরকারদের সংঘর্ষ হয়। এতে প্রতিপক্ষের হামলায় সুজাত সরকার, রফিক সরকার ও রাসেল সরকার গুরুতর আহত হয়। তখন আলাল উদ্দিন সরকার বাদী হয়ে ওই মামলাটি দায়ের করেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম আল-আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত কোনো আসামি জনপ্রতিনিধিত্ব করতে পারে না। বিষয়টি আমি আপনাদের মাধ্যমে এই জানলাম। রায়ের কপি হাতে পেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেব।,'